দেশ দিন দিন সংকটের দিকে যাচ্ছে। মানুষ শান্তিতে থাকতে চায় কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দিকগুলোর কারণে দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমরা আশায় মরছি। একতা সকলের মধ্যে লালসা ছড়াচ্ছে। চেনা মানুষ আজকাল যাচ্ছে না। কখন কিভাবে মানুষ হত্যা করা হয় তা কেউ জানে না। একটি অস্থির অবস্থা।
একটি অদ্ভুত এবং অসভ্য দেশে বসবাস। এদেশে পূজা-পার্বণ, উৎসব-অনুষ্ঠান আয়োজনে সবারই কমবেশি চুলকানি। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত তারা খুবই উদ্বিগ্ন।
এসএসসি পরীক্ষা চলছে। জীবনের এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি পার করার চিন্তায় যখন তাদের দিন কাটছে, এমন সময়ে যখন আবাসিক এলাকার ভেতরে পঞ্চাশটি মাইক্রোফোন লাগানো আছে, তখন প্রায় প্রতিদিনই ধর্মীয় ষাঁড়গুলো চিৎকার করছে!
অসুস্থ, শিশু, বৃদ্ধ, এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার সময় কি এসব নির্যাতন বন্ধ করা যায় না? ধর্মের এই ষাঁড়ের লড়াই চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এসব কি আইন করে চিরতরে বন্ধ করা যায় না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের কমান্ডাররা কেন এই জায়গায় এসে পোড়া চেহারা?
এ কেমন দেশ আমার?
আমরা মনের মধ্যে ভয় লুকিয়ে রাখি। সাহস নেই। মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পান কেন? আমি মানুষকে সত্য বলার সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেও বুঝতে পারি না। মানুষ সত্য জানতে দিন। দিনের পর দিন কেউ আওয়াজ তোলে না যে এই মৌলবাদী দলগুলো মানুষ হত্যা করছে। আপনার আওয়াজ বাড়ান এবং মানুষকে সত্য দেখান। বুঝুন মানুষের জন্য কিছু করা বন্ধ করুন এবং একটি সুন্দর দেশ গড়ুন। শিক্ষার অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাই।
6 Responses
আমিই মনে হয় প্রথম কমেন্ট করলাম আপনার পোষ্ট এ। অনেক শুভকামনা রইলো
আশা করি আরও সুন্দর লিখবেন
ব্লগ জগতে স্বাগতম দাদা
ভালো লাগল আপনার লেখা
সুন্দর লিখেছেন।
আপনার লেখনী তো অনেক ভালো। চালিয়ে জান।