আজকে আমরা তুলে ধরবো ইসলামিক মিথ্যাচার। আজকের পর্বে আমি দেখাতে যাচ্ছি কিভাবে মসজিদের ইমাম ফতোয়া বই থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এতটা চঞ্চল হতে পারেন:-
- কেউ শপথ করেছিল যে সে রুটি খাবে না। অতঃপর সে রুটি শুকিয়ে পানিতে মিশিয়ে পান করলে তার শপথ ভঙ্গ হবে না। কিন্তু রুটি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে শপথ ভঙ্গ হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি, ই ফা বা, পৃষ্ঠা 226)
মন্তব্য: ধর্মীয় পণ্ডিতদের মস্তিষ্কে কী ধরনের অস্পষ্ট জ্ঞান রয়েছে তার এটি একটি উদাহরণ মাত্র।
- একজন লোক শপথ করেছিল যে সে তরমুজ খাবে না। অতঃপর সে যদি একটি ছোট কাঁচা তরমুজ খায় তাহলে ফিকাহবিদদের মতে কসম ভঙ্গ হবে না। (সেই পৃষ্ঠা 228)
মন্তব্য: কাঁচা তরমুজ তরমুজ নয়; এটা তাদের তৈরি ইসলামী পন্ডিত বিজ্ঞান।
- কেউ তার স্ত্রীকে বলেছিল, ইসলামী পদ্ধতিতে “আমি যদি তোমাকে আজ না মারতাম, তাহলে তুমি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।” তখন স্বামী তাকে মারতে চাইলেন, তখন মহিলাটি বলল, তোমার শরীরের কোন অংশ আমার কোন অংশ স্পর্শ করলে আমার দাসত্ব মুক্ত হবে। তারপর যদি সে তার গায়ে হাত না দিয়ে তাকে বেত দিয়ে প্রহার করে তবে তার মানত ভঙ্গ হবে না। (সেই পৃষ্ঠা ৩৪১)
মন্তব্য: বাহ! একটি হাতের পরিবর্তে একটি বেত। ইসলামী পন্ডিতরা চতুর।
- একজন ব্যক্তি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে সে হারাম করবে না। অতঃপর সে যদি ফাসিদ পদ্ধতিতে বিয়ে করে (যে বিয়ে আইন বা শারীরিক বা মানসিক অসঙ্গতির কারণে অবৈধ বয়সের বিয়ের মতো বৈধ বলে বিবেচিত হয় না), তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে না। চার পায়ের পশুর সাথে সহবাস করলেও তা ভেঙ্গে যাবে না। (সেই পৃষ্ঠা ৩৬৫)
মন্তব্য: ইসলামিক পণ্ডিতরা চতুষ্পদদের সাথেও যৌন মিলন বৈধ করেছেন।
- মহিলাদের উপর ওয়াজিব (ওয়াজিব-ইসলামী আইনশাস্ত্রে, একটি বাধ্যতামূলক কাজ, এটি পালনে ব্যর্থ হওয়া পাপ) যদি তারা একটি ঘুমন্ত পুরুষকে তার সাথে যিনা করতে দেয়। (ইসলামী বৈবাহিক নিয়ম অনুযায়ী জিনা হল দুই অবিবাহিত মুসলমানের মধ্যে অবৈধ যৌন সম্পর্কের বিরুদ্ধে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা)। (সেই পৃষ্ঠা ৩৯৬)
মন্তব্যঃ তাহলে কি ইসলামী স্কলার ও ইমামগণ ঘুমিয়েও যিনা করছেন? এই ফতোয়া (ধর্মীয় নির্দেশনা) অবশ্য আমাদের নবী মুহাম্মদের জীবন নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। মুহাম্মদ উম্মু হানির সাথে তার ঘরে ঘুমাতেন এবং ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাথে যিনা করতেন। মেরাজের রাতে, ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি ডানাওয়ালা ঘোড়ায় চড়েছিলেন। উম্মু হানি ছিল সেই ডানাওয়ালা ঘোড়া।
প্রিয় পাঠক, আগের পর্বগুলোতেও ইসলামিক ভন্ডামী তুলে ধরা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয় প্রতিটি ধর্মই ভন্ডামিতে ভরপুর। যে ব্যক্তিতে সে জন্মেছে সে পরিবারের লালিত বিশ্বাসকে সর্বোত্তম বলে মনে করে। কিন্তু সেই বিশ্বাসের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন বোধ করেন না কখনো। যারা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে শিখেছে তারা সেই বিশ্বাসগুলোকে পরিত্যাগ করতে শিখেছে। যারা অন্ধ বিশ্বাস ও গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে তারাই নাস্তিক। ধর্ম ত্যাগ করার জন্য ধর্মগ্রন্থের একটি ভুলই যথেষ্ট, কারণ শাস্ত্র নির্বাণ দাবি করে। এবং একটি ভুল খুঁজে পাওয়া মানে দাবিটিও মিথ্যা। ইসলাম ধর্ম থেকে এত ভণ্ডামি ফাঁস করে কেউ যদি ইসলামকে শুদ্ধ বলে দাবি করে, আমি তার দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবো। কারণ একজন পাগলকে রহমতের চোখে দেখা উচিত। আর যাদের নূন্যতম জ্ঞান আছে তাদের কাছে আশা করি তারা দ্রুত ইসলাম থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
25 Responses
তুই বিদেশে থাকবি কয় দিন আর ? দেশেতো আসতে হবে । তার পর দেখবি কি হয়। তোঁর কল্লা থাকবনা।
হাউওার পোলা তোর গোষ্ঠী আগুন দিয়া জালাইয়া দিমু। খালি পাইলেই হইল।
খানকির পোলা দেশে আইলে একদম ভইরা দিমু কইলাম। পালাইয়া বেড়াবি কয় বছর ?
চমৎকার ভাবনা। লিখে যান ভাই। এখানে অনেক মূর্খরা এসে মন্তব্য করবে কিন্তু দমে যাবেন না
i agree with you wasi.and corruption is everywhere.and these bloggers fuels the violence and distortions.bloody motherfuckers
এসবের মধ্যে নির্বাচনকে আনার কি দরকার? নাকি হুদাই চিল্লাস?
নির্বাচন তার জায়গায় ঠিক ঠাক জায়গাতেই আসে । ধর্মের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।
ওই বেটা তুই কিসের সাথে কি মালাস ? তোরে ঘারামু হাউয়ার পোলা।
নাস্তিক দের সমর্থন করতে যাস না,বেঘোরে মারা পরবি
তুই ও তো একটা নাস্তিক,মাদারছদ।মাইরা তাঙ্গাইয়া থুমু কুত্তার বাচ্চা।
dont write shitty things acting o so wise and mighty.your destination is also the same
erokom sova aro kora uchit. egulo na hobar karonei emon hoyeche
শুধু সভা করলে ই কি কাজ হবে? মাঠে নামতে হবে।
অত্যাচারী দের ধরতে হবে আর শাস্তি দিতে হবে না হলে অত্যাচার হতে ই থাকবে।
i agree,there should be more discussion and a big movement is also needed for progress.
bloggers are not innocent,there are some who writes shit,wants to creat and fuel violence,they should be punished.
জুগের সাথে সব কিছুই বদলায় খালি বদলায় না এই মল্লারা।এই পুরান মতোবাদ আর ছল্বে না।আম্পনি চালায় যান।
উনার নামে মামলা হয়েছে খুব ভালো হয়েছে
এইসব লোকের নামে মামলা করা উচিত। আপনার এত জ্বলে কেন?
তুই লন্ডনে থাকস বইলা মনে করতেছিস যে বেচে গিয়েছিস। আসলে কি তাই? অপেক্ষা করতে থাক। একদিন না একদিন তোর আসল ট্রেস আমরা পাবই
লন্ডনে বইসা বালের লেখা লিকস? দেশে আয় সাহস থাকলে
দেশের বিরুদ্ধে কথা দেশের জনগণ মেনে নিবে না।সারা জীবন তো আর বিদেশ মাটি তে থাকতে পারবি না দেশে তকে আস্তেই হবে।তখোন সব হিসাব নিব।
এই গুলা উস্কানি মুলক কথা বার্তা।
ধর্মকে তো আসলে তোরাই বিকৃত করেছিস। ধর্মের নামে, ধর্মকে পুঁজি করে তোরা বিদেশের মাটিতে বসে নাম কুড়াচ্ছিস এই ধর্মকেই গালি দিয়ে। মনে রাখবি দেশে ফিরলে চাপাতির কোপ একটাও মাটিতে পড়বে না। সব গায়ে থাকবে। তখন এইসব লেখার জন্য শুধু আফসোস করবি। তোদের রোজ কেয়ামত এখন শুধু সময়ের ব্যাপার
তোদের রক্ত দিয়ে উৎসিবের সময় এসেছে। তুই তো লন্ডনে থাকিশ। একদিন না একদিন তোকে লন্ডন ছেড়ে এই দেশেই আসতে হবে। তারপর দেখবি এইসব লেখার দাম তোকে কিভাবে দিতে হয়। আমাদের প্রাণ প্রিয় হুজুরের বিরুদ্ধে এইসব আজগুবি কথা লিখিশ, সামান্যতম জ্ঞান থাকলে আর লিখতি না। দিনের পর দিন আমাদের এই করানের পাখিকে অন্ধ প্রোকোষ্ঠে এই বাকশালী সরকার আটকে রেখেছে। এই পাখিকে আমরা আমাদের মাঝে নিয়ে আনবই, আজ এই প্রতিজ্ঞা করলাম আর তোদেরকে দরকার হলে লন্ডনে গিয়ে শেষ করে দিয়ে আসব। কোথায় পালাবি তোরা?